জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার নামই হলো জিহাদ। মানুষের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। অধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অধিকারবঞ্চিত মানুষের ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই জিহাদ। জিহাদ বললে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ভাবতে হবে, আমি ন্যায়ের পক্ষে আছি।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল গণতন্ত্র, সাম্য ও জনগণের অধিকার। মুক্তিযুদ্ধে সবই ইসলামের কথা বলেছি। মানুষের কথা বলেছি, ন্যায়ের কথা বলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভূলুণ্ঠিত, সে জন্য সংগ্রামে যেতে হবে।’
তালেবানকে সাহায্য করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তালেবান সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা ২০ বছর যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। তাঁদের সালাম করতে হবে। শুধু সালাম করলে হবে না, দায়িত্বও আছে। সেখানে খাদ্যসংকটের কথা উঠেছে। এখানে ১৬ কোটি মানুষ, তালেবানকে কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন।
উপস্থিত সবার উদ্দেশে আফগানিস্তানে দ্রুত খাদ্যসহায়তা প্রেরণের আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আল্লামা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী, উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (পীর সাহেব), মুফতি এ কে এম ফারুক সিদ্দিকী, জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী আবু হুরাইরাহ, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নয়াটলা কামিল মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মুহাম্মদ এমরানুল হক, আলোচক মাওলানা তৌয়বুর রহমান, প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা গোলজার হোসেন, মাওলানা শাইখুল ইসলাম শাইখ, মাওলানা মঈনুল ইসলাম মাইজদী, সভা পরিচালনা করেন হাফেজ কারি মারুফ বিল্লাহ, সার্বিক পরিচালনায় সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম হেলালী।
right