নিহত কাকলি রানি মোহন্ত (২৫) সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের কল্লোবচন্দ্র মোহন্তের স্ত্রী ও পাশের রসুলপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মহন্তের মেয়ে।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসেন কাকলি রানিকে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে ওই ব্যক্তি লাশ ফেলে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
কল্লোব চন্দ্র মোহন্তের পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের শুকুল চন্দ্র মহন্তের ছেলে।
নিহত কাকলির বড় ভাই মনোরঞ্জন মোহন্ত বলেন, আড়াই বছর আগে বিয়ের পর থেকে কল্লোব ও তার পরিবারের লোকজন কাকলিকে যৌতুক দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। শুক্রবার রাতে কল্লোব জুয়া খেলার জন্য কাকলির কাছে টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় কল্লোব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা চিত্তরঞ্জন মোহন্ত থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানিয়েছেন।