পাকিস্তানের জিয়ো টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আফগানিস্তান এখন নাজুক সময় পার করছে। চার দশকের যুদ্ধ শেষে এটি হয় স্থিতিশীলতার দিকে যাবে, নয়তো এটি ভুল পথে যাবে। এতে বিশৃঙ্খলা ও বিশাল মানবিক সংকট সৃষ্টি হবে, যাতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রভাবিত করবে। সেখানে শক্তিশালী ঐক্য গড়তে সরকার গঠন করতে হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আফগানিস্তান সরকারকে যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়, তার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে কাজ করছে পাকিস্তান। এ ক্ষেত্রে সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন (এসসিও) ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রায় সবগুলো প্রতিবেশী দেশ অংশ নিয়েছিল।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ এবং আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের স্বীকৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। পাকিস্তানের অবস্থান থেকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। এর আগে তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ৪৮০ বার ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইমরান খান আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। তাঁরা মস্কোর সঙ্গে আরও সম্পর্ক ভালো করতে চান। এর বাইরে ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানের।