অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে একেকটি ইতিহাসের সাক্ষীর মৃত্যু ঘটছে। তাই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পরের প্রজন্মকে জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’সহ তাঁকে নিয়ে লেখা যত বই আছে, নতুন প্রজন্মসহ সবাইকে তা পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট লাঘবে সম্মানী ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। এটা নিয়ে তো মুক্তিযোদ্ধার দল দাবিদার বিএনপি কোনো কথা বলেনি। তারা মুখে তাদের নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও মনের ভেতরে তা ধারণ করে না। এটা হলো মুনাফেকি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানপ্রীতিকে জাগিয়ে রেখে বাংলাদেশকে ২১ বছর পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের মডেল। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের চেয়ে সব সূচকে পেছনে পড়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল সরকার প্রমুখ।
পরে টিপু মুনশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ‘স্মৃতিতে রণাঙ্গন’ বইটি তুলে দেন। এ সময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর মহানগরের ৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালের স্মৃতিকথা বইটিতে তুলে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।