সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি শুরু হলে একজন নিহত হন বলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “সেখানে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। গোলাগুলির মধ্যে দুই পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।”
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুতুবজোম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ কামাল এবং বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবুল কালাম (৪৬) কুতুবজোম ইউনিয়নের ৫ নম্বর পশ্চিমপাড়ার মৃত ছোট মিয়ার ছেলে। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আরও অন্তত দশজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাদের মহেশখালী ও কক্সবাজারের ওই দুই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংঘর্ষের পর পুলিশ, বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জামিয়া সুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, “পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সে সময় গুলিতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।”
নিহত আবদুল হালিমের বয়স ৩৫ বছর। তিনি ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন।
সারা দেশে ১৬০টি ইউনিয়নয় পরিষদে ভোট হচ্ছে সোমবার। এর মধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌরসভায় (মহেশখালী ও চকরিয়া) ভোট হচ্ছে।
কক্সবাজারের ইউনিয়ন পরিষদগুলো হল: মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম; কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরুং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী ও উত্তরধুরুং; পেকুয়ার টেটং এবং টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং।
নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, সাতক্ষীরার কেঁড়গাছি ইউনিয়নেও অনিয়মের অভিযোগে একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।