সিআইডি জানায়, এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) রোববার রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুম থেকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের (৬০) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বিভিন্ন দোকানে দই-মিষ্টি সরবরাহ করতেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, রাজু একটি সেলুনের কর্মচারী এবং বিপণীবাগ মার্কেটে ‘টিপটপ’ দোকানে কাজ করতো। নারায়ন চন্দ্র তাকে ২০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল।
“১৫ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় নারায়ন টাকা চাইতে এলে সেলুনের ভেতরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাজু নারায়নের গলায় ক্ষুরের পোচ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তখন তারা দুজন ছাড়া সেখানে আর কেউ ছিল না।”
রাজুর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পরে দোকানের কাছেই নিজের বাসা থেকে ব্যাগ এনে নারায়নের লাশ বস্তাবন্দি করে রাতে পানির পাম্পের স্টাফ রুম ফেলে আসে।
“প্রাথমিক তদন্তে টাকা লেনদেনের কারণেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এর পেছনে আর কিছু রয়েছে কিনা তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।”