সোমবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তার এ মন্তব্য আসে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে মনজুরুল আহসান বুলবুল, কুদ্দুস আফ্রাদ, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ওমর ফারুক ও সাজ্জাদ আলম খান তপু এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে একমত, ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটেছে। আমি জানতাম না, তথ্যমন্ত্রীও বোধহয় জানতেন না কিছু।
“আপনারা যখন আমাকে জানিয়েছেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনিও আপনাদের মতে একটি চিঠির কথা বলেছেন। সেই চিঠির উৎপত্তি কোথায় সেটাও দেখছি।”
গত ১২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের চারটি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে চিঠি দেয় ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ।
জাতীয় প্রেস ক্লাব ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয় অংশ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয় অংশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা রয়েছেন এই তালিকায়।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “আমার মনে হয়, একটা ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে চিঠিটা দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি চিঠিটা এভাবে দেওয়া উচিত হয়নি।”
বিষয়টি ‘আরেকটু খতিয়ে’ দেখবেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোথা থেকে, কীভাবে কী হয়েছে, দেখে ব্যবস্থা নেব। অবশ্যই আপনাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপনারা কষ্ট পেয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন।
“সেই জায়গাটায় কিছু করতে না পারলেও পরবর্তীতে এমনটা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখব। সবার সঙ্গে আলাপ করছি। মঙ্গলবার রূপপুর যাচ্ছি, সেখান থেকে এসে আবার বসব। যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেগুলো দেখব।”