বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অলরাউন্ডার সাকিবের এই বিশেষত্ব তুলে ধরেন হেরাথ।
টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার হেরাথের কাছে প্রশ্ন ছিল, বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে টেস্ট গ্রেটদের মধ্যে কোন উচ্চতায় থাকবেন থাকবেন সাকিব। কিন্তু তিনি আগে বললেন অলরাউন্ডার সাকিবের কথা।
“বোলার সাকিবের আগে ক্রিকেটার সাকিবের কথা বলি। আমার মতে, সে ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল একজন। ব্যাটিং-বোলিং দুটোই প্রায় সমান এবং দুটির যে কোনো একটি দিয়েই দলে আসতে পারেন, এরকম ক্রিকেটার খুব কমই খুঁজে পাবেন ইতিহাসে।”
“জ্যাক ক্যালিসের কথা বলতে পারেন। তিনি ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। বোলিংও বেশ ভালো। কিন্তু আমি নিশ্চিত নই, বোলিং দিয়ে তিনি টেস্ট দলে আসতে পারতেন কিনা। সাকিব এখানে ব্যতিক্রম। তার ব্যাটিং-বোলিংয়ের একটিকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখা কঠিন। আরেকটা ব্যাপার, সাকিব খুবই স্মার্ট ক্রিকেটার।”
স্পিনার সাকিবের কথাও অবশ্য এরপর বললেন হেরাথ। তিনি নিজে ৪০০ উইকেট শিকারি টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র বোলার (৪৩৩)। ড্যানিয়েল ভেটোরির টেস্ট উইকেট ৩৬২টি। জোরের ওপর ভয়ঙ্কর বাঁহাতি স্পিন করে তার নাম হয়ে গিয়েছিল ‘ডেডলি’, সেই ডেরেক আন্ডারউডের উইকেট ২৯৭টি। একসময় যাকে মনে করা হতো বাঁহাতি স্পিনের শেষ কথা, সেই বিষেন সিং বেদির উইকেট ২৬৬টি।
সাকিব সেখানে এখনও পিছিয়ে বেশ (২১৫)। তবে সাকিব টেস্ট খেলেছেন মোটে ৫৮টি। সেখানে হেরাথ খেলেছেন ৯৩টি, ভেটোরি ১১৩টি, আন্ডারউড ৮৬টি, বেদি ৬৭টি।
স্পিনার সাকিবকে নিয়ে হেরাথ বললেন টেস্ট কম খেলার এই ব্যাপারটিই।
“সাকিবের স্পিন বোলিংয়ের কথা বললে, আমাদের কারও সঙ্গে তুলনায় যাব না। তবে তার রেকর্ডই তার হয়ে কথা বলবে। একটা ব্যাপার হলো, অনেক বছর ধরে খেললেও খুব বেশি টেস্ট সে খেলেনি (১৪ বছরে মাত্র ৫৮টি)। বাংলাদেশ যদি আরও বেশি টেস্ট খেলতে পেত, সাকিব হয়তো আমার বা ড্যানের (ভেটোরি) উইকেটসংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারত। সেই সামর্থ্য তার ছিল বা আছে।”
“এই সময়ের আরেকটা ব্যাপার হলো, অনেক বেশি ক্রিকেট হয় এখন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। ওদের কাজটা তাই কঠিন। তার পরও, যদি বাংলাদেশ আরও বেশি ও নিয়মিত টেস্ট খেলত, অবশ্যই তার উইকেট অনেক বেশি থাকত।”