জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে শনিবার নিউ ইয়র্কে এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তান চেয়েছিল, বৈঠকে তালেবান আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করুক। কিন্তু ভারত এবং জোটের আরও কয়েকটি সদস্য দেশ তাতে আপত্তি জানায়।বিষয়টি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই।।
এবারের বৈঠকের আয়োজক ছিল নেপাল। সাধারণত প্রতিবারই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে সার্কের মন্ত্রীপর্যায়ের এ বৈঠক হয়।
তালেবানের সরকার এখনও আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পায়নি; গতমাসে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীটির অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই জাতিসংঘের কালো তালিকায় আছেন।
আমির খান মুত্তাকি তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘ এবং এর আওতাধীন সংস্থার বৈঠকগুলোতে তার উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের এক বৈঠকে বলেন, তালেবান সরকারে তারা ছাড়া আর কেউ নেই, নেই নারী ও সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিও। এ কারণে কাবুলের এখনকার সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সব দেশেরই ভালো করে ভাবা উচিত।
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সার্কের সদস্য।
এএনআই বলছে, জোটের বেশিরভাগ দেশই চেয়েছিল, এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আফগানিস্তানের চেয়ার খালি থাকুক। পাকিস্তান তাতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যায়।
ভারতীয় এই বার্তা সংস্থা লিখেছে, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্যের কারণে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলে তাদের প্রশ্নে উত্তরে জানিয়েছে সার্ক সচিবালয়।