শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট মন্থর। এদিকে সাউদি পেস ও সুইং–বান্ধব উইকেটে দারুণ কার্যকরী। শারজাহর উইকেট নিয়ে ম্যাচের আগে দিল্লির ঋষভ পন্ত বলেছেন, ‘উইকেট মন্থর। ১৫০-১৬০ রানই হবে ভালো স্কোর।’
এই মন্থর উইকেটে সাউদির জায়গায় সাকিবকে খেলালে কলকাতার বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল, এমন ভাবতে পারেন অনেকেই। তবে কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্টেরও কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেওয়ার জায়গা থাকে।
দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সাকিবকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলকাতার সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার, ‘শারজার মাঠ ছোট। অধিনায়ক ভেবেছেন, এখানে তিন স্পিনার খেলানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। পেসের কথা ভেবেই সাউদিকে নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে সাকিবের ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য ‘প্রমাণিত’ হলেও বোলিংয়ের কারণেই এগিয়ে রাখা হয়েছে সাউদিকে, জানিয়েছেন নায়ার, ‘অবশ্যই, সে (সাকিব) প্রমাণিত পারফরমার এমন কন্ডিশনে। তবে আমরা অতিরিক্ত একজন পেসার খেলাতে চেয়েছি, যে পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করতে পারে।’
সব মিলিয়ে মোট পাঁচ বোলার খেলাচ্ছে কলকাতা—তিন পেসার ও দুই স্পিনার। টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার জায়গায় সুযোগ পাওয়া সন্দ্বীপ ভারিয়ার কলকাতার পেস বিভাগ
সামলাচ্ছেন। স্পিন বিভাগে দুজনেই বৈচিত্র্যময় বোলার, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কার্যকর ও পরীক্ষিত।
সুনীল নারাইনের বৈচিত্র্যের অভাব নেই, তাঁর সঙ্গে লেগ স্পিনার ও গুগলিতে কুশলী বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লির প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজন ধ্বংসাত্মক বাঁহাতি রয়েছেন—শিখর ধাওয়ান, ঋষভ পন্ত ও শিমরন হেটমায়ার। সাম্প্রতিক ক্রিকেটের প্রথা মেনে ছোট সীমানার মাঠে তাঁদের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার খেলানোর ঝুঁকি হয়তো নিতে চায়নি কলকাতা।