আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বাধীন নয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের অনুষ্ঠানে ইরান প্রতিনিধিদল পাঠাবে কিনা তা তালেবানের আচরণের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে। খবর পার্সটুডের।
তিনি সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি।” তালেবান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের অনুষ্ঠানে ইরান যোগ দেবে কিনা বা তালেবান সরকারকে ইরান স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে খাতিবজাদে একথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা তালেবানের স্থায়ী সরকার গঠনের অপেক্ষায় রয়েছি এবং এরপর অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তালেবানের আচরণ পর্যবেক্ষণ করার পরই কেবল আমরা তাদের অনুরোধ ও আমন্ত্রণে সাড়া দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব।”
গত সপ্তাহে তালেবান যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে তাতে ইরান বা আন্তর্জাতিক সমাজের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি বলে জানান খাতিবজাদে। তিনি বলেন, ইরান আফগানিস্তানে সকল পক্ষের উপস্থিতিতে একটি ‘অংশগ্রহণমূলক সরকার’ দেখতে চায়।
তালেবান তাদের নয়া সরকারে সকল পক্ষের অংশগ্রহণ রাখবে বলে এর আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও গত সপ্তাহে ঘোষিত সরকারে তালেবানের বাইরে কাউকে স্থান দেয়া হয়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে তালেবানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট বা এনআরএফ তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে এর বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। এনআরএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির উপত্যকায় এখনো তালেবানের সঙ্গে এই প্রতিরোধ ফ্রন্টের যুদ্ধ চলছে যদিও তালেবান ওই উপত্যকার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবানের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, যুদ্ধ কখনো সংলাপের বিকল্প হতে পারে না। যে সমস্যার সমাধান সংলাপের মাধ্যমে সম্ভব তার সমাধানের জন্য রক্তপাত গ্রহণযোগ্য নয়।