অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। বিকেলে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নেয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৫/৫ স্যার সৈয়দ রোডের নিলয় অ্যাপার্টমেন্টে অভিযানে যায় র্যাব। সে ভবনের ছয় তলায় ভাড়া থাকেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান স্ত্রী শামিমা নাসরিন।
তাদের ফ্ল্যাটে পৌনে দুই ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। পরে গুলশান থানার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাসেল ও নাসরিনকে নেয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। এসময় রাসেলের গ্রেপ্তারের খবরে বাসার সামনে ভিড় করেন ইভ্যালির গ্রাহকেরা। এসময় পাওনা টাকা ফেরতও চান অনেকে।
এছাড়া সেখানে আসেন ইভ্যালির অনেক মার্চেন্টও। রাসেলের মুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বুধবার রাতে রাসেল ও নাসরিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলার আবেদন করেন এক গ্রাহক। বৃহস্পতিবার মামলাটি পুলিশ গ্রহণ করলে অভিযানে যায় র্যাব। এছাড়া, সিরাজগঞ্জেও তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এজাহারে বাদী জানান, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে কিছু পণ্যের অর্ডার দেন। এরপর বিভিন্ন সময় পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করেন। ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলা হলেও এখন টালবাহানা করছে ইভ্যালি।
এদিকে গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক থেকে জানানো হয় ইভ্যালিসহ কয়েকটি ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের কোন দায়িত্ব আর নেবেনা মন্ত্রণালয়। এর পরই আজ গ্রেপ্তার হলেন ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইওকে।