ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামীকালের গণটিকার বিষয়টি প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিকাকেন্দ্রেগুলোর ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। কাল সকালে টিকাদানকর্মীরা কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে যাবেন।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, গণটিকা কার্যক্রম হলেও এবার শুধু নিবন্ধনকারীরাই টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। আগের গণটিকা কার্যক্রমগুলোর মতো এবার শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনলেই টিকা দেওয়া হবে না।
এ ছাড়া যেসব আবেদনকারী উত্তর সিটির আওতাধীন ২৭টি কেন্দ্রে টিকার জন্য আবেদন করেছেন, এদিন তাঁরাই শুধু ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোতে টিকা দিতে পারবেন। দক্ষিণ সিটির কেন্দ্রগুলোতে আবেদনকারীদের ওই সিটির ওয়ার্ডগুলোতেই টিকা নিতে হবে। সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
গণটিকা কার্যক্রমে রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি, মহাখালীর সাততলা বস্তি ও মিরপুরের ভাষানটেক বস্তিতে এক হাজার করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুধু বস্তিবাসীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন ছাড়া টিকাদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বস্তিবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সিটি করপোরেশন তাঁদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কাল এক দিনে সারা দেশে ৮০ লাখ টিকা দেওয়া হবে। সারা দেশের ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার ছয় হাজারের বেশি কেন্দ্রে টিকাদান চলবে। নিবন্ধন করেও যাঁরা প্রথম ডোজের টিকা পাননি, তাঁরা এ কার্যক্রমে প্রাধান্য পাবেন।