আয়কর বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ তল্লাশির মাধ্যমে তারা কর ফাঁকিসংক্রান্ত কঠিন প্রমাণাদি পেয়েছে। সোনুর বিরুদ্ধে ২০ কোটি রুপি কর ফাঁকি ছাড়া আরও অনেক অভিযোগ এনেছে আয়কর বিভাগ।
তাদের দাবি, সোনুর একটি এনজিও সংস্থা ২ দশমিক ১ কোটি রুপি বিদেশি অনুদান অবৈধভাবে আদায় করেছিল। এই বলিউড তারকার বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি রুপির জাল লেনদেনের অভিযোগ এনেছে তারা। আয়কর বিভাগের দাবি, সোনু কিছু জাল সংস্থা থেকে জালি আর বন্ধকহীন ঋণের সাহায্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেছেন। এই বলিউড অভিনয়শিল্পী ২০২০ সালে একটি এনজিও সংস্থা স্থাপন করেছিলেন।
আয়কর বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ সংস্থা এ বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৯৪ কোটি রুপি অনুদান পেয়েছিল। এ অনুদানের টাকা থেকে এনজিও সংস্থাটি ১ দশমিক ৯ কোটি রুপি বিভিন্ন ত্রাণ তহবিলে খরচ করেছিল। অবশিষ্ট ১৭ কোটি রুপি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে। এখন পর্যন্ত এ টাকায় হাত দেওয়া হয়নি।
লক্ষ্ণৌর একটি অবকাঠামো গ্রুপের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এ সংস্থার সঙ্গে সোনু সুদ জড়িত। আয়কর বিভাগের অভিযানে উঠে এসেছে, এ সংস্থা বেশ কিছু বেআইনি আবাসন বানিয়েছে।
এ ছাড়া ৬৫ কোটি রুপির জাল লেনদেনের তথ্য তাদের তদন্তে ফাঁস হয়েছে। বেহিসাবি নগদ অর্থ খরচ, বর্জ্য পদার্থ বেহিসাবি বিক্রি আর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ১ দশমিক ৮ কোটি রুপি নগদ আর ১১টি লকার পুনরুদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ। তাদের এ অভিযান এখনো চলছে। এখন দেখার অপেক্ষা, আয়কর বিভাগের এ অভিযানে আর কত তথ্য ফাঁস হয়।