ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট বাতিল হওয়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সৌরভ। টেস্ট ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর বলা হয়, ভারতীয় দলের সহকারী ফিজিও যোগেশ পারমারের করোনা পজিটিভ হওয়ার জন্যই খেলতে অস্বীকৃতি জানান বিরাট কোহলিরা।
পরে অবশ্য ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন কোচ রবি শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর দলে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। রবি শাস্ত্রী কিছুদিন আগে তাঁর বই প্রকাশের জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, এটাও নাকি করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ!
যদিও শাস্ত্রী তা অস্বীকার করেন।
সৌরভ এত দিন এসব বিষয়ে কথা বলেননি। তবে এবার পুরো বিষয়ে নিজের নীরবতা ভেঙে টেস্ট ম্যাচ বাতিল হওয়ার আসল কারণ ব্যাখ্যা করলেন, ‘খেলোয়াড়েরা খেলতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু এর জন্য তাদের দোষ দেওয়া যায় না।’
কেন ক্রিকেটাররা খেলতে চাননি, সেটার কারণ জানাতে গিয়ে সৌরভ বলেন, ‘ফিজিও যোগেশ পারমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক খেলোয়াড়দের। ও সবার সঙ্গে মেশে। এটাই ওর প্রাত্যহিক কাজ। এমনকি করোনা টেস্টও ওই করে। শুধু তাই নয়, প্লেয়ারদের ম্যাসাজও করে প্রতিদিন।
যোগেশ করোনায় আক্রান্ত জানার পর দলের খেলোয়াড়েরা রীতিমতো ভেঙে পড়েছিল। ওদের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে যোগেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকায় হয়তো ওরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তারা ভয় পেয়েছিল।’
সারাক্ষণ জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকাটা যে কত কঠিন, সেটাও বললেন সৌরভ, ‘আপনি কতক্ষণ হোটেলের রুমে বন্দী থাকতে পারবেন? আপনি কি সারা দিন আপনার বাড়িতে আটকে থাকতে পারবেন? মাঠ থেকে হোটেল, হোটেল থেকে মাঠ—এভাবে একজন মানুষের জীবন সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। একজন মানুষের পক্ষে তা অসম্ভব। আসলে জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকা সহজ কাজ নয়। অবশ্যই, তাদের অনুভূতিকে সম্মান করতে হবে।’
ম্যানচেস্টার টেস্ট বাতিল হওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তীব্র সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়েও সৌরভ তাই বলেছেন, ‘বিসিসিআই দায়িত্বজ্ঞানহীন একটা ক্রিকেট বোর্ড নয়। অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্ব কতটা, খুব ভালো করে জানে। ম্যানচেস্টার টেস্ট আগামী বছর নিশ্চিতভাবে হবে।’