রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘সরকারিভাবে খোলার সিদ্ধান্ত হলে আমাদের প্রস্তুতিও আছে। আমাদের শুধু খানজাহান আলী হলটা সংস্কারের কাজ চলছে। এখনো মাসখানেক লাগবে। বাকি সব হল ঠিক আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা মহামারির কারণে অনলাইন বা অফলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি কিছুদিন আগে নেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে ডিসিপ্লিন (বিভাগ) প্রধানেরা কোর্স কো-অর্ডিনেটরের মাধ্যমে নিজ নিজ ডিসিপ্লিনে অনলাইন পরীক্ষা–সংক্রান্ত মডেল টেস্ট গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে প্রথম টার্মের পরীক্ষা গ্রহণ শেষ হলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় টার্মের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলেও আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুরু হওয়া বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অনলাইন পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উপাচার্য মাহমুদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার এই নতুন অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে দুর্যোগ বা মহামারির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। করোনা মহামারির কারণে একাডেমিক ক্ষেত্রে যে সময়টা পিছিয়ে আছে, তার রিকভারি প্ল্যান করতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সহায়তায় তা পুষিয়ে নিতে হবে।
গত জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীর মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে থেকেই এসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে খুলনা অঞ্চলে করোনার প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ওই মাসেই সব পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। মাস্টার্সের পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন কোর্সে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য চতুর্থ বর্ষের কিছু স্পেশাল টার্ম পরীক্ষা সশরীর অনুষ্ঠিত হয়েছে।